সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৩

ঘর সংসার


অনেক দিন হয়ে গেল হিমুদার সাথে দেখা হয় না । রুপাদি টা কেমন আছে দেখতে যাওয়া দরকার । রুপাদি কে লেখা তিন পাতার হিমুর একটা চিঠি আছে আমার বুক পকেটে । রুপাদি কে পৌঁছুতে হবে । অন্যের ব্যক্তিগত চিঠি পড়ার নিয়ম নেই । তবুও আমি খুলে পড়লাম । পুরো তিন পাতা জুড়েই একটা বাক্য লেখা, 'রুপা তুমি কেমন আছ ?' ।  .মানুষটা এতো পাগল !
শেষ বার যখন দেখেছি তখন মুখে অনেক লম্বা দাড়ি ছিল । মাথা ভর্তি চুল ছিল । এখন কোথায় আছে, কেমন আছে কে জানে ?

মিসির আলী সাহেব কে দেখতে যাওয়া দরকার । অতিরিক্ত সিগারেট খেয়ে ফুসফুস জ্বালিয়ে ফেলেছেন । মেডিকালে চিকিত্‍সা নিচ্ছেন । ভদ্র লোকের তিন কূলে কেউ নেই যে একটু খোঁজ খবর নেবে । অবশ্য রুনা নামের একটা মেয়ে প্রায়শই এসে খোঁজ খবর নেয় । স্যার খুব একটা কথা বলেন না বলে রুনা খুব অভিমান করে থাকে ।

শুভ্র দিন দিন অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে । তাঁর বাবার কি এক গোপন অবৈধ ব্যবসার কথা জানতে পেরে বেচারা খুব মন খারাপ করে আছে । তাকে নিয়ে একবার কুয়াকাটা যাবার কথা ছিল । যেতে পারিনি ।

অর্ক না কি পাড়ায় খুব ঝামেলা বাঁধাচ্ছে । কারণে অকারণে অনেক ছেলেপুলেকে মার ধর করে । অনিমেশ কিছু করতে পারছে না । মাধবীলতাকে একাই সব সামাল দিতে হচ্ছে । ও দিকে স্কুলের চাকরিটায় ও কি এক ঝামেলা শুরু হয়েছে । এতো সংগ্রাম করে মাধবীলতা টিকে আছে কি করে কে জানে ! একবার তাদের বাড়িতেও যেতে হবে । অর্ককে বুঝাতে হবে ।

সুনীলটা এখনো ভবঘুরে । মীরাকে ভুলতে পারছে না । একবার দ্বিকশূণ্যপুর যাবার দরকার ।

আমার কতো যে কাজ পড়ে আছে ! অথচ অনেক দিন ধরেই আমি আমাকে খুঁজে পাচ্ছি না । আমার খুব হাটতে ইচ্ছে করে । খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে । আমারো কোথাও হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে । একা । চুঁপচাপ !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন